BY Farzana Aktar
2016-01-31 02:36 PM

বিজ্ঞান বলে,যে ৭টি হবি আপনাকে স্মার্ট হতে সহায়তা করবে !!!

বিজ্ঞান বলে,যে ৭টি হবি আপনাকে স্মার্ট হতে সহায়তা করবে !!!

দীর্ঘ একটি সময় ধরে মানুষ বিশ্বাস করে এসেছে যে,মানুষ জন্মের সময় তার প্রদত্ত বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আসে,এবং সেগুলোর মাধ্যমেই মানুষ অন্যের সাথে নিজের পার্থক্য তৈরি করে।কিন্তু বিজ্ঞান প্রমান করেছে, আমরা বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে আমাদের প্রদত্ত ক্ষমতাকে বাড়িয়ে নিয়ে নিজেকে গুরুত্বপূর্ন করে তুলতে পারি।বর্তমানে আমরা জানি যে,নতুন নতুন বিষয়ে জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে আমাদের মস্তিস্ক নিউরাল পাথওয়ে তৈরি করতে পারে,যা আমাদের কর্মক্ষমতা এবং কর্মকৌশল দুটোকেই বাড়িয়ে তোলে।

গবেষণা মতে যে ৭টি হবি আপনাকে আরো স্মার্ট হতে সহায়তা করবেঃ

১.মিউজিক্যাল ইনষ্ট্রুমেন্ট বাজান-

সঙ্গীত চর্চা ক্রিয়েটিভিটি,অ্যানালিটিক্যাল স্কিল,গানিতিক সহায়তায় শিক্ষা গ্রহনের একটি সুযোগ তৈরি হয়, যা আপনার দক্ষতাকে বাড়িয়ে তুলে।

আপনি জানেন কি? আইনষ্টাইন ভালো ভায়োলিন বাজাতেন।

২.যতটুকু পারেন কিন্তু পড়ুন-

আপনার বই পড়ার সময়টা আপনার জ্ঞান আহরণের সুযোগ দেয়ার পাশাপাশি আপনার মানসিক চাপ কমায়,যার কারনে আপনি নিজের ভেতরে প্রশান্তি অনুভব করবেন, এছাড়াও আপনার তিন ধরনের ইন্টেলিজেন্স বৃদ্ধি পাবে-আপনি নমনীয় হতে শিখবেন, আর্দ্র হতে শিখবেন এবং ইমোশনাল হতে শিখবেন। এগুলো আপনার প্রাত্যহিক জীবনের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে, সমস্যার প্যাটার্ন কেমন, বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে সমস্যাটি কেমন, সমাধানের অনেকগুলো পথ বের করার শিক্ষা এবং মানুষের অনুভূতিগুলো বুঝতে আপনাকে সহায়তা করবে।

তাই কাজের ক্ষেত্রে, আপনার এই বই পড়া আপনার ম্যানেজিং স্কিল বাড়াবে এবং সমস্যা সমাধানের পথকে সহজ করে তুলবে।

৩.নিয়মিত ব্যায়াম করুন-

মাঝে মাঝে ব্যায়াম কোন কাজের বিষয় নয়, বরং নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার শরীরের সেলগুলোতে BDNF,প্রোটিন তৈরি হয় যা আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়ানো, আপনার শেখার শক্তি বৃদ্ধি, মনোযোগের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সহজে বোঝার ক্ষমতা বাড়ায়। যা আপনার মানসিক শক্তির অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করে।

৪.নতুন ভাষা শিক্ষা-

রিসার্চে দেখা গেছে, একটি ভাষা জানা মানুষের চেয়ে যারা বেশী সংখ্যক ভাষা জানেন তাদের পাজল সমাধানের ক্ষমতা বেশী। একের অধিক ভাষা শিক্ষা, আপনার মস্তিস্ককে অধিক কার্যকরী করে তোলার পাশাপাশি আপনার আত্নবিশ্বাসকে ও বাড়িয়ে তুলবে।

৫.আপনার কিউমুলেটিভ লার্নিং টেষ্ট করুন-

যা কিছু শিখছেন, সেটাকে বার বার মনে করার চেষ্টা করুন, সুযোগ পেলে, সেই শিক্ষাকে ব্যবহার করার জন্যে উদ্যোগী হোন, দেখবেন আপনার মনে রাখার ক্ষমতা যেমন বাড়ছে, তেমনি কোন কিছু জানলে সেটা কত চমৎকার ভাবে ব্যবহার করা যায় সেটা আপনাকে আরো বেশী করে নতুন কিছু জানার জন্যে অনুপ্রানিত করবে এবং আপনাকে আত্নবিশ্বাসী করবে।

৬.আপনার মস্তিস্ককে পরিশ্রম করতে দিন-

সুডোকু, পাজল, ভিডিও গেমস, কার্ড গেমস এই বিষয়গুলো আপনার মস্তিকের মধ্যে উদ্দীপনা তৈরি করে। যা আপনার মস্তিস্ককে আরো বেশী কর্মক্ষম করে তোলে, যার মাধ্যমে আপনি ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে সমস্যা সমাধানের বিষয়গুলোকে আয়ত্ব করতে পারেন।

আর অধিক কর্মক্ষম মস্তিস্ক, অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে কম থাকে এবং হতাশায় কম ভুগে।

৭.মেডিটেশন-

দালাইলামা ১৯৯২ সালে বিজ্ঞানী রিচার্ড ডেভিডসন কে,তার ধ্যানমগ্ন থাকার সময়কালে ব্রেইনে যে কম্পন তৈরি হয় সেটাকে স্টাডি করার জন্যে এবং তিনি ধ্যানমগ্ন অবস্থায় এই কম্পনের মাধ্যমে কোন কমান্ড দিতে পারেন কিনা তা দেখার জন্যে আমন্ত্রন জানিয়েছিলেন।দেখা গেল ধ্যানমগ্ন অবস্থায় দালাইলামা এবং অন্য সন্ন্যাসীরা ধ্যানের গভীরে পৌছাতে পারেন এবং প্রভাব তৈরি করতে পারেন। সেই ফুল রিসার্চ রিপোর্টটি ২০০৪সালে “Proceedings of the National Academy of Sciences” এ এবং ওয়াল ষ্ট্রীট জার্নালে প্রকাশ হলে মানুষের মনোযোগ আকর্ষন করেছিল।

অ্যামবিশাস মানুষের কাছে মেডিটেশন খুবই আকর্ষনীয় কারন ষ্টাডিতে দেখা গেছে আমরা আমাদের ব্রেইন ওয়েভ কে নিয়ন্ত্রন করতে পারি, যেমন ইচ্ছা যখন ইচ্ছা তাই অনুভব করাতে পারি। তারমানে হলো, গুরুত্বপূর্ন কোন নেগোশিয়নের আগে আমরা নিজের মধ্যে শক্তি তৈরি করতে পারি, এবং নিজের আত্নবিশ্বাস বৃদ্ধির মাধ্যমে বিষয়বস্তুর নিয়ন্ত্রন নিতে পারি।

তথ্যসূত্র: বিজনেস ইনসাইডার অবলম্বনে