১.পজিটিভ হবার চেষ্টা করুন-
আপনি যেভাবে ভাববেন আপনি পৃথিবীটাকেও তেমনিভাবেই দেখবেন, আপনার নেগেটিভ চিন্তার প্রবনতা থাকলে তা বদলে নিন, সবকিছুতে পজেটিভ হবার চেষ্টা করুন। সেইজন্যেই বলা হয়, দৃষ্টিভঙ্গি বদলান জীবন বদলে যাবে।
২.আপনার নিজস্ব ইমেজ কে ঠিক করুন-
ফটোশপ দিয়ে যেমন কোন ইমেজের খুটিনাটি সমস্যাগুলো ঠিক করে ফেলা হয়, তেমনি আপনি আপনার নিজেকে আয়নায় দেখুন, মুখের কোন অভিব্যক্তিতে দেখতে আপনাকে বেশী ভালো লাগে খুজে বের করুন সেই সাথে আপনার ভেতরের কোন আচরন কোন সমস্যাগুলো আপনার বদলানো উচিত সেগুলো খুজে নিন এবং বদলে ফেলুন। হয়তো সময় লাগবে কিন্তু চেষ্টা করুন। আপনি যখন জানেন এগুলো আপনার সমস্যা এবং চেষ্টা করলে আপনি বদলে নিতে পারেন, তাহলে সেটা বাদ রাখবেন কেন।
৩.ভালো পোশাক পড়ুন-
আপনি যখন ভালো পোষাক পড়বেন, আপনি বেশ ভালো বোধ করবেন। আপনার মনে হবে, আপনি সবার সামনে দাড়ানোর জন্য তৈরী। ভালো পোশাক মানেই আপনাকে অনেক দামী কোন পোশাক পরতে হবে তা নয়, আপনি আটপৌরে পোশাকে না থেকে নিজের ব্যক্তিত্বের সাথে যায় এবং নিজেকে উপস্থাপন করা যায় এমন কোন পরিচ্ছন্ন পোশাক পরুন। খেয়াল করে দেখবেন ভালো পোশাক পড়ে থাকলে নিজেকে কতটা গোছানো লাগে।
৪.নিজেকে জানুন-
আপনার নিজেকে আগে জানার চেষ্টা করুন, জীবনের সব যুদ্ধেই আপনি জিততে পারবেন। আপনার নেগেটিভ যেসব চিন্তা আছে সেগুলো কে অবদমন করুন, আপনার মন যখন বলবে আপনি পারবেন না আপনি তখন আরও বেশী করে সেটা করার জন্য উদগ্রীব হোন, দেখবেন আপনার মন ভূল বলেছিল। আপনি আরও বেশী আত্নবিশ্বাসী এবং উজ্জীবিত হতে পারবেন।
৫.পজিটিভ আচরণ করুন-
পজিটিভ চিন্তা-ভাবনার পাশাপাশি আপনার কর্মকান্ডও যেন পজিটিভ হয় সে চেষ্টা অব্যাহত রাখুন। কারন আপনার পজিটিভ কাজগুলোই আপনাকে পজিটিভ থাকতে আরও বেশী উদ্বুদ্ধ করবে। আপনার কাজে আরও বেশী কর্মস্পৃহা যোগ করুন, কিছুদিনের মধ্যেই আপনি তফাৎটা দেখতে পাবেন।
৬.আপনার নীতিগুলোকে জানুন-
প্রত্যেক মানুষের জীবনে কিছু নীতি থাকে যেগুলো মানুষ মেনে চলে অথবা চলতে চায়, আপনার নীতিগুলো জেনে নিন, ভাবুন কোন নীতিগুলো আপনার কাছে শিরোধার্য মনে হয়, সেগুলোকে মেনে চলুন। আপনার নীতি হতে পারে, আপনি মিথ্যা বলেন না, অন্যের ক্ষতি করেন না, অন্যের নামে গীবত করেন না ইত্যাদি। আপনি যখন আপনার নীতিগত বিষয়গুলো কে জানবেন এবং জীবনে মেনে চলবেন দেখবেন অন্য যারা এই নীতি গুলো মানছে না তাদের সাথে নিজের পার্থক্য করতে পারবেন এর মাধ্যমে নিজেকে যেমন আপনি আরো বেশী সম্মান করতে পারবেন, তেমনি আপনার আত্নবিশ্বাস বাড়াতেও এটা সহায়তা করবে।
৭. সোজা হয়ে দাড়ানোর চেষ্টা করুন-
চেষ্টা করবেন সবসময় সোজা হয়ে দাড়াতে এবং হাটতে, সেই সাথে এটাকে অভ্যাসে পরিণত করুন, কারন সোজা হয়ে দাড়াতে পারাটা আত্নবিশ্বাস কে বাড়াতে সহায়তা করে।
৮.নিজের কর্মস্পৃহা কে বাড়ান-
প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন এতে আপনার জ্ঞান ভান্ডার যেমন সমৃদ্ধ হবে তেমনি আপনার আত্নবিশ্বাসও বাড়বে।
৯.দয়ালু এবং উদার হোন-
অন্যের প্রতি আচরণে, চিন্তায় দয়ালু এবং উদার হোন, সুযোগ সার্মথ্য থাকলে অন্যকে সাহায্য করুন, এতে আপনার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং আপনি নিজ থেকে অনুভব করতে শুরু করবেন আপনি ভালো মানুষ, এই বোধটুকু আপনার আত্নবিশ্বাস বহুগুনে বাড়িয়ে দিবে।
১০. নেগেটিভ ভাবনা ঝেড়ে ফেলুন-
আপনার মনে যে নেগেটিভ ভাবনাগুলো আসে সেগুলো কে গুরুত্ব দিবেন না। কোন কিছুতে যখন মনে হবে পারবেন না, সেটাকে আরও মনোযোগ সহকারে করার চেষ্টা করুন এবং মন থেকে নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন যে আপনি পারবেন।
১১.নিজেকে জানুন-
আপনার ভালো-খারাপ দিক কোনগুলো, সেগুলোকে জানার চেষ্টা করুন এবং খারাপ দিকগুলোকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন। আপনি যদি নিজেকে জানতে পারেন তাহলে সহজেই নিজেকে পরিবর্তন করতে পারবেন। তাই নিজেকে জানুন।
১২.ধীরে কথা বলুন-
খুব তাড়াহুড়া করে কথা না বলে একটু ধীরে কথা বলুন। ধীরে কথা বললে শুনতে বেশ আত্নবিশ্বাসী মনে হয়।
ফোর “C s” আপনার জীবনটাকে বদলে দিবে, এগুলো হল (curiosity) জানার আগ্রহ, (confidence)আত্নবিশ্বাস, (courage) সাহস এবং (constancy) দৃঢ় সংকল্প।
তারমধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী বিষয় হলো আত্নবিশ্বাস।
ওয়াল্ট ডিজনী’র একটি কথা কে অনুসরণ করতে পারেন, সেটা হলো “আপনি যখন কোন কিছুতে বিশ্বাস করেন, মনের সবটুকু দিয়ে কোন প্রশ্ন না করে দ্বিধাহীনভাবে সেটাকে বিশ্বাস করুন”।