১. যদি আপনার হ্যান্ডশেক করতে কোন অনীহা না থাকে, তবে প্রথমে আপনি হাত বাড়িয়ে দিন তাহলে অপর পক্ষের কাছে আপনার উপস্থাপনা আরো বেশী বন্ধুত্বপূর্ন এবং প্রফেশনাল মনে হবে।
২. যখন কারো সাথে আপনার প্রথম দেখা হচ্ছে সেক্ষেত্রে হ্যান্ডশেকের আগে তার সাথে ২/১ টা মৌখিক সম্ভাষন জানিয়ে নিন, তারপর ডানহাত বাড়িয়ে দিন হ্যান্ডশেকের জন্যে। কোন কথা না বলে হঠাৎ করে হাত বাড়িয়ে দিলে অপরপক্ষ আপনাকে নার্ভাস অথবা ক্ষ্যাপাটে মনে করতে পারে।
৩. হ্যান্ডশেকের সময় ২/৩ টার বেশী ঝাকুনি দিবেন না, এর বেশী ঝাকুনী অপর পক্ষের অস্বস্তির কারন হতে পারে।
৪. হ্যান্ডশেকের সময় অপরপক্ষের চোখের দিকে তাকান, হাসি দিয়ে অল্প কিছু বাক্য বলুন।
৫. খুব জোরে হাত চেপে ধরে বোঝানোর দরকার নেই যে আপনি অনেক শক্তিশালী, অমায়িক ভাবে নরম হাতে হ্যান্ডশেক করুন। হ্যান্ডশেক করার সময় নারীর হাত নাকি পুরুষের হাত ধরছেন আপনার আচরণে সে ধরনের কোন পার্থক্য যেন প্রকাশ না পায়, আপনি শুধুমাত্র একজন মানুষের হাত ধরছেন এই বিষয়টাই মাথায় রাখবেন।
৬. হ্যান্ডশেকের সময় দুহাত ব্যবহার করবেন না, দুহাতের হ্যান্ডশেক কে রাজনৈতিক হ্যান্ডশেক বলে মনে করা হয়। এই হ্যান্ডশেক কে প্রফেশানাল মনে করা হয়না।
৭. হ্যান্ডশেকের আগে আপনার হাত পরিস্কার এবং শুকনো রাখার চেষ্টা করুন, যদি হাত ঘেমে যাওয়ার প্রবনতা থাকে তাহলে চেষ্টা করুন টিস্যুতে অথবা নিজের প্যান্ট/শাড়ীতে চাতুর্যের সাথে মুছে নিতে, যেন অপর পক্ষ বুঝতে না পারে। আর যদি অপর পক্ষের হাত হ্যান্ডশেকের সময় ভেজা থাকে সেক্ষেত্রে আপনি হ্যান্ডশেকের সাথে সাথে হাত মোছার চেষ্টা করবেন না এতে অপরপক্ষ অস্বস্তি অথবা লজ্জাবোধ করতে পারে। একটু অপেক্ষা করে, পরে তার অগোচরে হাত মুছে নিন।
৮. হ্যান্ডশেকের সময় অন্যদিকে না তাকিয়ে, অপর পক্ষের চোখের দিকে আত্নবিশ্বাসের সাথে তাকান, মুখে হাসি রাখুন এবং কিছু চমৎকার কথা বলুন।
উপরের বিষয় গুলো মাথায় রেখে হ্যান্ডশেক করুন, অন্যের কাছে আপনি নিজেকে আত্নবিশ্বাসী, বন্ধুত্বপূর্ন এবং প্রফেশনাল হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবেন।