১. অ্যাড দেয়ার জন্য টাকা খরচ করুন-
ফেসবুকের মাইক্রো টার্গেট যে সুবিধা আছে সেটাকে আপনি ব্যবসার মার্কেটিংয়ের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে, কারন আপনি যা কিছুই পোষ্ট করেন না কেন সেই পোষ্টিং শুধুমাত্র আপনার টার্গেট করা ৫% কাষ্টমারের কাছে পৌছাতে পারেন। ফেসবুক নিজের অ্যালগারিদম কে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করে চলেছে, কর্মাশিয়ালি কেউ যদি টাকা খরচ করে তবে বাকি ৯৫% শতাংশ কাষ্টমারের কাছে আপনি পৌছাতে পারবেন।
২. ফেসবুক পোষ্টিং দিন-
ফেসবুকে নিয়মিত পোষ্টিং দিতে হবে আপনাকে সেটা ভিডিও, ফটো, ফটো-টেক্সট দুটোই, শুধু টেক্সট অথবা লিংক ইত্যাদি। যদিও দৈনিক কতটি পোষ্ট দিতে হবে তা নিয়ে কোন নিয়মনীতি নেই তবে বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় সপ্তাহে ৫-১০টি পোষ্টিং আপনার ভিজিটর কে আপনার পেজে নিয়মিত রাখবে এবং নতুন নতুন ভিজিটরকে আগ্রহী করে তুলবে।
৩. পোষ্টিং পিক টাইম এবং অফ পিক টাইম
আপনার ফেসবুক অ্যানালিটিকস ব্যবহার করে আপনার পেজের ভিউয়ারের ভিজিট করার হার কোন সময়ে বেশী হয় সেটা জেনে নিতে পারেন। যদিও দিনের সময় টুকুকেই পিক টাইম ধরা হয় এবং এ সময় ভিজিটর বেশী থাকে তবে অফপিক টাইম হিসেবে রাতের সময়টুকুকেও আপনি অগ্রাহ্য না করে আপনার পোষ্টিং টাইমের জন্য সমান সুযোগ দিতে পারেন। কারন এ সময় অন্যান্য প্রতিযোগীদের অ্যাক্টিভিটিস কম তাই প্রতিযোগীতাও কম এবং আপনার পোস্টিং বেশী সময় দেখানোর সুযোগ পাবেন, সেই সাথে আপনার পোষ্টিং শেয়ার করানোর সুযোগও বেশী।
৪. প্রশ্ন করুন-
আপনার ফেসবুক পেজে যদি রেসপন্স এবং কমেন্ট দেখতে পান আপনিও তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে এবং তাদের কে বিভিন্ন প্রশ্ন করে তাদের আগ্রহী করে তুলবেন। ধরুন আপনি আপনার বিউটি স্যালুনের পেজ মার্কেটিং করছেন, আপনার অডিয়েন্স কে প্রশ্ন করতে পারেন, মানুষকে কোনটি সত্যিকার অর্থে সবচেয়ে বেশী সুন্দর করে তোলে। এই ধরনের প্রশ্নগুলোর মাধ্যমে আপনি ভিজিটরকে তাদের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আগ্রহী করে তুলতে পারবেন। তাই নিত্য নতুন প্রশ্ন এবং টপিক শেয়ার করে তাদের কে আগ্রহী হবার সুযোগ তৈরি করুন।
৫. ফটো শেয়ার করুন-
অন্যান্য যে কোন পোষ্টিংয়ের চেয়ে ফটো ভিজিটরকে বেশী আগ্রহী করে তুলে, তাই আপনার বিভিন্ন ফটো এবং টেক্সট মিলিয়ে পোষ্টিং দিতে পারেন। মানুষ আনন্দ পেতে ভালোবাসে তাই আপনার ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত বিষয়াবলী ছাড়াও মাঝে মাঝে মজাদার সব ছবি পোষ্টিং দিতে পারেন।
৬. কমেন্টের উত্তর দিন-
অনেক ফেসবুক পেজকেই দেখা যায় কাস্টমার প্রশ্ন করলে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেন না আর দিলেও খুবই সামান্য। আপনার পেজে যদি আপনি ঠিকমতো রেসপন্স না করেন তাহলে অন্যের অংশগ্রহনকে আপনি আশা করতে পারেন না। তাই প্রতিনিয়ত চেষ্টা করুন সবার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে, এমনকি একই রকম প্রশ্ন যদি সবাই করে তবুও বিরক্ত হবেন না ধৈর্য্য ধরে সবার প্রশ্নের উত্তর দিন।
৭. আপনার কনটেন্ট নিয়ে কৌশুলি হোন-
আপনার ফেসবুক পেজে সারাক্ষন আপনার পন্যের ছবি আপলোড না করে মাঝে মাঝে হাসিমুখের কাষ্টমারে ছবি পোষ্ট করতে পারেন অথবা কোন কাষ্টমার ধন্যবাদ জানিয়ে থাকলে সেটাকে হাইলাইট করে কনটেন্ট তৈরি করুন। কেউ উৎসাহব্যঞ্জক কিছু লিখলে সেটাকে বড় করে ধন্যবাদ জানান যেন সবাই জানতে পারে। এমনি করে আপনার পেজের কনটেন্টগুলো কে নিয়ে কৌশুলি হোন।
৮. আপনার পেজের অ্যানালিটিকস কে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে যাচাই করুন-
আপনার পেজের অ্যানালিটিকস দেখুন। সেটা হতে পারে সা্প্তাহিক অথবা মাসিক কিন্তু নিয়মিত সেটাকে বিবেচনায় রাখুন, আপনার ভিউয়ারের উৎসাহ এবং আগ্রহ কতটুকু আপনি ধরে রাখতে পারছেন এবং কতটুকু বাড়াতে পারছেন তার একটা হিসাব পাবেন সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করুন।
৯. ব্যবসার ব্যক্তিগত ছবিও শেয়ার করুন-
মাঝে মাঝে আপনার প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিগত ছবিও আপনার ফেসবুক পেজে শেয়ার করুন। সেটা হতে পারে সবাই মিলে কোন উপলক্ষে একসাথে খাওয়া, কোন সহকর্মীর জন্মদিন পালন, কোন বিজনেস ট্রিপ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে। এর মাধ্যমে অন্যদের সাথে আপনাদের আনন্দও সবার সাথে ভাগ করতে চাইছেন তার একটা ম্যাসেজ রাখতে পারবেন।
এভাবে প্রতিনিয়ত আপনার কাষ্টমার, ভিউয়ারের সাথে আপনার যোগাযোগ অব্যাহত রাখুন। তাদের কে অনুভব করতে দিন আপনি তাদের দৃষ্টিভঙ্গী এবং মতামতগুলোকে কতটুকু গুরুত্ব সহকারে লক্ষ্য করছেন। এতে আপনার ব্যবসায়িক লাভ ভিন্ন লোকসান হবে না।