মানুষ আপনাকে অসংখ্য বার না বলবে, বলবে “না” আপনার এই আইডিয়া কোন কাজে আসবে না, আপনার আইডিয়ার কোন ভাত “নাই” , আপনার পন্য আমি কিনতে চাই “না”, আপনার সার্ভিস আমার দরকার “নেই”, আপনার প্রতিষ্ঠানে আমি বিনিয়োগ করব “না”, আপনার চারিপাশে শুধুই “না”, ক্রমাগত এই “না” শুনতে শুনতে হয়তো আপনার একসময় মনেই হবে পৃথিবীতে হ্যা বলে কোন শব্দ নেই আর কোন কালে হয়তো ছিলও না।
রিজেকশন জীবনের অংশ, বিশেষ করে একজন উদ্যোক্তার জীবনেতো অবশ্যই, যদিও সেটা শুনতে কোন কালেই কারও ভালো লাগে না। তাই না শুনতে পারা এবং না বলতে পারা দুটোর ক্ষমতাই আপনার থাকতে হবে।
কেউ আপনাকে রিজেক্ট করে বলবে, এই কাজটা করার জন্যে যে দক্ষতা এবং যোগ্যতা অ্ন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো আপনার নেই। কষ্ট পাবেন না, নিজেকে উজ্জীবীত করার নিয়ামক হিসেবে গ্রহন করুন, মনের মধ্যে আশা রাখুন সফল হয়েই তাদের জানাবেন তাদের ধারণা কতটা ভূল ছিল।
একজন উদ্যোক্তার গুরুত্বপূর্ণ একটি স্কিল হলো না বলতে পারার ক্ষমতা অর্জন করা, সেটা হোক কোন ক্রেতা অথবা মাথায় ক্রমাগত উড়তে থাকা ভালো কোন একটা আইডিয়া ।অ্যাপলের টিম কুক একবার বলেছিলেন,“প্রতিদিনই আমরা অনেক ভালো আইডিয়া কে না বলি”। আমরা প্রতিদিন গ্রেট আইডিয়াগুলোকে না বলি কারন অনেক বেশী কিছুতে দৃষ্টি নিবদ্ধ করার চেয়ে, যেন আমরা আমাদের পূর্বে বেছে নেয়া গুটি কয়েক প্রজেক্টগুলোতে পূর্ন মনোযোগ দিতে পারি এবং সেগুলো কে সফল করে তুলতে পারি। সবচেয়ে বড় যে বিষয়টা একটি ব্যবসাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারে সেটা হলো নির্দিষ্ট কিছু প্রজেক্টে না থেকে সব কিছুতেই কাজ করতে চাওয়া। তাই প্রয়োজনের সময় না বলতে পারলে আপনি আপনার বর্তমান প্রজেক্টে গভীর মনোযোগ দিয়ে সেটাকে সফল করে তুলতে পারবেন। যা আপনার জন্যে ভালোর চেয়ে মন্দ হবে না।
উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিনিয়তই না কথাটা শুনতে পাবেন, কারন মানুষ বিশ্বাস করতে পারেনা যে আপনি পারবেন। আপনার আইডিয়ার প্রতি মানুষের প্রতিক্রিয়া কে আপনি নিয়ন্ত্রন করতে পারবে না, কিন্তু আপনি মানুষের সেই সব না এর প্রতি কি প্রতিক্রিয়া দেখাবেন, সেটা কে নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন।
তাই যখন আপনি রিজেক্টেড হবেন, মনে রাখবেন “না” শব্দটি আপনার পথের শেষ নয়, বরং সফল হতে চাওয়ার জন্যে আপনার ভেতরের জ্বলতে থাকা আগুন কে আরো বেশী প্রজ্জ্বলিত করার জন্য, মানুষের ছুড়ে দেয়া বাড়তি কিছু জ্বালানী মাত্র।