যে কোন উদ্যোক্তার জন্যই বিজনেস প্ল্যান গুরুত্বপূর্ন। উদ্যোক্তা হিসেবে প্রথমেই একপৃষ্ঠার একটি প্ল্যান করে ফেলুন, অনেকেই অবশ্য এ নিয়ে সন্দেহ পোষন করবেন এক পৃষ্ঠায় একটি পরিকল্পনা দিয়ে বড় লক্ষ্যে পৌঁছানো কিভাবে সম্ভব। খুবই সম্ভব আপনার যা পরিকল্পনা, আপনি যা করতে চান, লিখিত আকারে চোখের সামনে রেখে আপনি পরবর্তী কার্যক্রম চালাবেন, তারপর যখন আপনার ব্যবসা বড় হবে, আপনার পরিকল্পনাও বড় হবে সেই সাথে পরিকল্পনা লিখার জন্য পৃষ্ঠাও বাড়তে থাকবে।
অতএব শুরুতেই একপৃষ্ঠার পরিকল্পনাকে এড়িয়ে না গিয়ে চেষ্টা করে না হয় দেখুন কোন কাজে আসে কিনা।
খুব সহজ ৫টি পদক্ষেপ আপনার এক পৃষ্ঠার বিজনেস প্ল্যান এর জন্যে-
১. আপনার ভিশন দিয়ে শুরু করুন-
পরিকল্পনা করুন আপনার বিজনেসকে আপনি কোথায় দেখতে চান? আপনার বিজনেসটাকে আপনি শেষ পর্যন্ত কোথায় দেখতে চান এই শেষটা ঠিকমত জানতে হবে আপনাকে। আপনার বড় ভিশনের সর্বশেষ লক্ষ্য কি সেটাকে ব্যাখ্যা আকারে লিখুন ।
২. মিশন ঠিক করুন-
আপনি যখন জানেন আপনার ভিশন কি, আপনি এখন ঠিক করবেন সেই ভিশন পর্যন্ত পৌছাতে আপনি কি কি করবেন, কোন পন্হা আপনার জন্য সহজ উপায় হবে। এ লিখাটা জরুরী এইজন্য যে এতে আপনার সাথে যে মানুষগুলো আছে, আপনার বিজনেস পার্টনার, আপনার ষ্টাফ, তাদের জন্য বোঝা সহজ হবে যে আপনি কি করতে যাচ্ছেন এবং কি কি উপায়ে করতে যাচ্ছেন। সেই সাথে আপনার সামনে ও একটি লিখিত বিষয় প্রতিদিন আপনাকে মনে করিয়ে দিবে আপনি প্রতিদিন কি করছেন এবং কেন করছেন, এতে আপনারও কাজের স্পৃহা বাড়বে ।
৩. কর্মপন্থা গুলোর তালিকা করুন-
আপনার কর্মপন্থা গুলো কি হবে বুলেট আকৃতিতে লিখে ফেলুন। যেমন-বছর শেষে একজন ফুলটাইম গ্রাফিক ডিজাইনার আপনি নিয়োগ দিবেন, তার আগে আপনার অফিসের জন্য একটি স্থান নির্ধারন করতে হবে অথবা ২০১৬ সালের মধ্যে আপনার প্রতিযোগীদের ব্যবসার ১০ পার্সেন্ট আপনি আপনার ব্যবসায় আনবেন ইত্যাদি।অতএব আপনার প্ল্যান এর মধ্যে যা যা করার হিসেব আপনার আছে তার তালিকা তৈরি করে ফেলুন ।
৪. আপনার ষ্ট্র্যাটেজিগুলো নির্ধারন করুন-
আপনার ষ্ট্র্যাটেজিক প্লান হলো আপনার কর্মপন্থার বিস্তারিত বিবরণ । কিভাবে আপনার কর্মকৌশলগুলোকে আপনি চালিত করবেন, যেমন- আপনার মার্কেটিং প্ল্যান কি হবে? আপনি কিভাবে পন্য বা আপনার সেবা বিক্রি করতে চান ? আপনার পন্য বা সেবা ডেভেলপমেন্ট এবং রিসার্চ করার জন্য কোন নির্দিষ্ট সময় সুযোগ থাকবে কিনা ? আপনার ব্যবসা সম্প্রসারনের জন্য আপনি কি কি উপায় অবলম্বন করবেন ? আপনার প্রতিযোগীদের সাথে কিভাবে প্রতিযোগীতা করবেন ? আপনার অর্থের উৎস কি হবে? কোন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনি নিজের ব্যবসাকে কোন অবস্থানে দেখতে চান ইত্যাদি নির্ধারন করুন ।
৫. অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করুন-
আপনার সামনে ভিশন আছে, আপনার কর্মকৌশল ঠিক আছে, আপনি জানেন আপনি কোন ষ্ট্র্যাটেজিগুলো অনুসরন করবেন। এখন আপনি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করবেন । প্রতিদিন কোন কোন কাজগুলো করবেন, স্বল্পসময়ের টার্গেটের মধ্যে কোন কোন কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারলে আপনি আপনার প্রধান লক্ষ্যে এগিয়ে যাবেন সেই পরিকল্পনা তৈরি করুন ।
একটি বিজনেস প্ল্যান অনুযায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে লক্ষ্যে পৌছানো বেশ চ্যালেঞ্জিং তবে সেটা আপনার সংকল্পের দৃঢ়তার সামনে কঠিন কিছুইনা । অতএব আপনার যাত্রা পথ এখনই শুরু হোক, আপনার সুবিশাল লক্ষ্যে পৌছানোর পথে ।