ব্যক্তিগত কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা এবং গতির কারনে আমাদের কাজে টেকনোলজির ব্যবহারের ধরন বদলে যাচ্ছে। ভার্চুয়াল তথ্য ভান্ডার এত বেশী ব্যবহার উপযোগী এবং সহজলভ্য হয়েছে যার কারনে বর্তমান সময়ে প্রতিষ্ঠানের কমকর্তা-কর্মীরা বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সহজেই নিতে পারছেন এবং আরো বেশী কার্যকর ভাবে তাদের কাজ সম্পন্ন করতে পারছেন।২০২০ সালের মধ্যে গ্লোবালাইজেশন, প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতি কাজের মধ্যে আরো বেশী গতি নিয়ে আসবে।
প্রযুক্তির কারনে অফিসে যে কাজ করতে হতো বাসায় বসেও সে কাজ করা খুব সহজ হয়ে যাবে, যা বর্তমানে শুরু হয়েছে সীমিত আকারে হলেও। সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় তখন আর নির্দিষ্ট ৯-৫টা সময়সীমার মধ্য আবদ্ধ থাকার প্রয়োজন পরবে না, যে কোন স্থান থেকে যে কোন সুবিধাজনক সময়ে কাজ করার সুযোগ-সুবিধা তৈরি হবে।
HP’র আর্ন্তজাতিক কনজ্যুমার মার্কেটিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট পেজ মুরির মতে, বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান ওয়েব বেজ হয়ে যাবে এবং ওয়েবে লগ ইন করার জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস গুলো মানুষের কাছে সহলভ্য হয়ে যাওয়ার কারনে ভবিষ্যত কর্মীর লোকেশন কিংবা কাজের সময়ের কোন পরিধি থাকবে না, যে যেখান থেকেই লগ ইন করুক, সেটাই কাজের কমন প্লেস হবে। কর্মীর শুধু প্রয়োজন হবে প্রয়োজনীয় একসেস থাকা।
ফিউচার ওয়ার্কপ্লেস-
সাম্প্রতিক এক গবেষনায় দেখা গেছে অনেক প্রতিষ্ঠানেই শতকরা ২০ থেকে ৩০ ভাগ কাজের স্পেস ব্যবহৃত হয় না কিন্তু প্রতিষ্ঠান সেই স্থান টুকু ব্যবহার না হলেও তার জন্যে ব্যয় করতে হচ্ছে ঠিকই।
তাই ধীরে হলেও প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে শুধুমাত্র অফিসে বসে কাজ না করে যে কোন স্থান থেকে কাজ করার ধারনা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।এ ধারনার ব্যাপক প্রসার যখন হবে এমপ্লয়ী যেখান থেকে কাজ করে কমর্ফোট ফিল করবে সেখান থেকেই করতে পারবে হোক সেটা বাসার ড্রয়িং রুম, কফি শপের কোন কর্নার অথবা কোন পার্কের বেঞ্চ। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন অ্প্রয়োজনীয় স্পেসের জন্য খরচ করতে হবে না, তেমনি একজন কর্মীরও যাতায়াতের জন্য যে বাড়তি কষ্ট করতে হয় এবং সময় নষ্ট হয় সেটা কে নিজের কাজে ব্যয় করতে পারবেন।
২০২০ সালে একজন কর্মীর নিয়ম মেনে ৪৮ ঘন্টা কাজের হিসেবের ধরন বদলে যাবে অনেকখানি, তার চাইতে প্রতিষ্ঠান গুলো জোর দেবে কিভাবে এমপ্লয়ী কাজের রেজাল্ট কতটা কার্যকর ভাবে বের করে আনবেন তার উপর।
২০২০ সালের এমপ্লয়ীরা আজকের সময়ের থেকে বদলে যাবে অনেক, সেই সাথে প্রযুক্তির উৎকর্ষ নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্র উদ্ভাবন নতুন নতুন কর্ম ধারনা সামনে নিয়ে আসবে যা হয়তো এখন আমরা ভাবতেও পারছি না।