প্রস্তুতি যখন সুযোগের সাথে মিলে যায়, তাই হলো সৌভাগ্য . . . . . .বহুল ব্যবহৃত একটি প্রবাদ বাক্য।
আপনি যখন নিজেকে প্রস্তুত রাখবেন , সুযোগ যখন আসবে আপনি অনায়াসে সে সুযোগটুকুর সদ্বব্যবহার করতে পারবেন। অতএব অপ্রস্তুত অবস্থায় না থেকে নিজেকে ক্যারিয়ারের জন্য প্রস্তুত করুন। অনেকেই জানেন না, কোন ধরনের জব করা উচিত, কিভাবে প্রস্তুতি নেয়া উচিত।
আগে ভাবুন আপনি নিজেকে কোন ক্যারিয়ারে দেখতে চান। নিচের পদক্ষেপ গুলো সেক্ষেত্রে আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে।
ষ্টেপ ১ – আপনার সবচেয়ে বেশী ভালোলাগে অথবা আপনি করতে ইচ্ছুক এমন ৫ টি বিষয় নোট করুন, ভেবে দেখুন এর মধ্যে কোন বিষয় গুলো আপনাকে বেশী টানে অথবা আপনার করতে ইচ্ছে করে। আপনি আপনার জীবনে কি করতে চান, নিজেকে কোথায় দেখতে চান ভেবে নিন।
ষ্টেপ ২ – আপনার যোগ্যতা সম্পর্কে ভাবুন, নিজেকে প্রশ্ন করুন,
ষ্টেপ ৩ – ক্যারিয়ার সম্পর্কে ধারনা নিন। হাজার ধরনের ক্যারিয়ার আছে এখন চাকুরীর বাজারে, ইন্টারনেট সার্চ দিন, এখনকার জব সাইট গুলোতে ঢুকলে আপনি বিভিন্ন চাকুরীর প্রতিদিনের কাজের ধরন সম্পর্কে ধারনা নিতে পারবেন, সেইসাথে আপনার নিজের জন্য কোনটা যথাযথ সেটাও বুঝতে পারবেন। অনেক চাকুরীতে পোষ্টিং থাকে, ভ্রমন থাকে এ বিষয় গুলো ধারনা নিতে পারেন, আপনার যদি ভ্রমন ভালো না লাগে কোন চাকুরীগুলো আপনার করার সুযোগ নেই এ বিষয় গুলো সম্পর্কে একটা পরিস্কার ধারনা নিতে পারবেন ।
ষ্টেপ ৪ – আপনার পছন্দের কিছু ক্যারিয়ার বেছে নিয়ে কোন জবগুলোর বেতন কাঠামো কেমন, কোন চাকুরী গুলোতে অফিসের কাজে ভ্রমন করতে হয়, শিক্ষাগত যোগ্যতা কোনটার বেলায় কেমন, আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে কোন ধরনের চাকুরী মানান সই হবে ইত্যাদি বিষয় গুলো তফাৎ জেনে নিন। এগুলো আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।
ষ্টেপ ৫ – সুযোগ থাকলে একটু টেষ্ট করে নিন। আজকাল অনেক প্রতিষ্ঠান শিক্ষানবীশ হিসেবে হাতে কলমে খন্ডকালীন কাজের সুযোগ দেয়, যদি আপনার সুযোগ থাকে এমন কিছুর তবে সেই সুযোগটাকে কাজে লাগান। শিক্ষানবীশ কালীন সময়ের মধ্যে কিছুটা হলে ও ধারনা নিতে পারবেন কাজের এই ধরনটা আপনার ভালো লাগছে নাকি আপনার অন্য দিকে চিন্তা করা উচিত।
ব্যাংকিং জব, মার্কেটিং জব, এনজিও জব যেই জবটা আপনাকে বেশী আকর্ষন করছে, তার বিষয়ে অনলাইনে অনুসন্ধান করুন, সেই জবের জন্য বিভিন্ন কোম্পানীগুলো কি ধরনের যোগ্যতা চায় সেটা জানুন, দেখে নিন এর মধ্যে আপনার মধ্যে কোন যোগ্যতা গুলো এখনো পুরোপুরি নেই, সেগুলোর বিষয়ে মনোযোগী হোন এবং নিজেকে তৈরি করে নিন।
আত্ববিশ্বাসী হয়ে যান কারন আপনি পুরোপুরি তৈরি থাকবেন বলে যোগ্যতা দিয়েই নিজেকে বিপনন করতে পারবেন এই প্রতিযোগীতামূলক বাজারে।